স্বদেশ ডেস্ক:
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা (৫২) নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে এবং হাত-পায়ের রগ ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বুধবার সকালে উপজেলা পশ্চিম জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামে বাড়ির কাছে পুকুরপাড় থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মোস্তাফিজার রহমান শিবগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম জাহাঙ্গীরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং এমএবি ইটভাটার মালিক ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শিবগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী জানান, তাৎক্ষণিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। স্থানীয়দের ধারণা, বালু ও ইট ব্যবসা নিয়ে বিরোধেই নৃশংস হত্যার শিকার হয়েছেন তিনি।
এলাকাবাসী জানান, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মোস্তাফিজার প্রায় এক কিলোমিটার দূরে আলাদীপুরে তার ইটভাটায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি বাড়ি না ফিরলে স্ত্রী ও স্বজনরা ফোন দিলেও কেউ ধরেননি। বুধবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে নিজস্ব পুকুরপাড়ে তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তার হাত-পায়ের রগ ও গলাকাটা, পা ভাঙা এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে অন্য কোথায় হত্যা করে বাড়ির কাছে পুকুরপাড়ে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে।
মোস্তাফিজার একসময় নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার নামে মামলাও ছিল। গত ১০ বছরের বেশি সময় বালুর ব্যবসা করেন; একটি ইটভাটার মালিক হয়েছেন। এ ছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য হন, যোগ করেন স্থানীয়রা।
শিবগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী জানান, তাৎক্ষণিকভাবে মোস্তাফিজার হত্যার কারণ জানা যায়নি। এ ব্যাপারে বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। দুর্বৃত্তরা তার ঘাড়ে চাপাতির আঘাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে।